পরিস্থিতি জটিল না করে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হোক
কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান দুই নেতা যদি বাঁকখালী নদী দখল করে থাকেন তবে তাদের বিরুদ্ধে মামলা হবে এটি স্বাভাবিক। কারণ কেউ আইনের উর্ধ্বে নয়। কিন্তু তারা যদি দখলবাজ না হয়ে মিথ্যা মামলায় আসামী হন তবে মামলার বাদীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মারুফ আদনানকে অনুরোধ জানাবো। কারণ বাঁকখালী নদী দখল আর প্যারাবন ধ্বংস হয়েছে অনেক আগে। এতদিন পরিবেশ অধিদপ্তরের আমড়া কাঠের ঢেঁকি কর্মকর্তারা নাকে তেল দিয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন নাকি ? এতদিন কেন মামলা করা হয়নি ? নাকি অনৈতিক সুবিধা নিয়ে ছিলেন ?যখনই ছাত্রলীগের নাম পত্রিকায় আসলো তখনই ঘুম ভেঙেছে কি আপনাদের ? সত্যিকার অর্থে জেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক প্যারাবন ধ্বংস করেছে কিনা ? নদী দখল করেছেন কিনা ?এসব প্রশ্ন রয়ে গেল।
আমরা তো জানি এ নদী দখল হয়েছে অনেক আগে। দখলের মহড়া তো চলছে কয়েক যুগ ধরে। একটি খতিয়ান ভূক্ত জমি ক্রয় বিক্রয়ের কারণে সেদিন জেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক সেখানে যায়। কিন্তু প্যারাবন ধ্বংস করছে বা তার জমি আছে এমন কোন তথ্য নেই। তাহলে শুধু কি ছাত্রলীগকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে এ মামলা করা হয়েছে ? আমি তো মনে করি পরিস্থিতি জটিল হওয়ার আগে পরিবেশ অধিদপ্তর তদন্তের মাধ্যমে যারা প্রকৃত দখলদারদের বিরুদ্ধে মামলা করা হোক। যাদের জমি নেই তাদের সম্মান ফেরত দেওয়া হোক।
এদিকে প্রকৃতপক্ষে যারা বাঁকখালী নদী দখল আর প্যারাবন ধ্বংস করেছে এ রকম অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তিদের নাম মামলা থেকে বাদ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তর কর্মকর্তার বিরুদ্ধে!